মির্জাপুরে জগদ্ধাত্রী পূজোর মহা উদ্বোধন: বিমানের প্রশংসা, সমাজসেবায় অঙ্গীকার সমিতির

 

মির্জাপুরে জগদ্ধাত্রী পূজোর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: বিমানের প্রশংসা, সমাজসেবায় অঙ্গীকার সমিতির 

মির্জাপুরে জগদ্ধাত্রী পূজোর মহা উদ্বোধন: বিমানের প্রশংসা, সমাজসেবায় অঙ্গীকার সমিতির
মির্জাপুর (কলকাতা) জগদ্ধাত্রী পূজো সমিতির আয়োজনে দ্বিতীয় বর্ষের জগদ্ধাত্রী পূজোর উদ্বোধনে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে সংঘের প্রধান সংগঠক প্রদীপ কর, মোহনবাগান ক্লাবের সম্পাদক দেবাশিস দত্ত ও সহ সম্পাদক শান্তনু দত্ত। এবারের ভাবনা , “মা”

নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট | Channel Eleven

আজ মির্জাপুর (কলকাতা) জগদ্ধাত্রী পূজো সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় বর্ষের জগদ্ধাত্রী পূজোর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন। শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সংঘের প্রধান সংগঠক প্রদীপ কর, মোহনবাগান ক্লাবের সম্মানীয় সম্পাদক দেবাশিস দত্ত এবং সহ সম্পাদক শান্তনু দত্ত

এবারের পূজোর ভাবনা ,“মা”, যা মাতৃত্ব, করুণা ও মমতার গভীর প্রতীক হিসেবে প্রতিটি আলোকসজ্জা ও শিল্পকর্মে ফুটে উঠেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,

“অসাধারণ মাতৃপূজার আয়োজন করেছে মির্জাপুর জগদ্ধাত্রী পূজো সমিতি। সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এমন সুন্দর প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়।”

এরপর তিনি রাজ্যের SIR (State Identification Register) প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,

“এই ব্যাপারটা নিয়ে যেন অঘোষিত যুদ্ধ চলছে। এর আগে বহু নির্বাচন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, মানুষ সবসময় তাতে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু এবার এমন এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, যা একেবারেই অনুচিত। একদিকে ভোটার লিস্ট সিজ করা হচ্ছে, অন্যদিকে ফর্ম ২-এ পার্ট ও সিরিয়াল নম্বর চাওয়া হচ্ছে , এটা মোটেই বাস্তবসম্মত নয়।”

মির্জাপুরে জগদ্ধাত্রী পূজোর মহা উদ্বোধন: বিমানের প্রশংসা, সমাজসেবায় অঙ্গীকার সমিতির

অন্যদিকে, সমিতির চিফ অর্গানাইজার প্রদীপ কর বলেন,

“প্রথম বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার আমরা আরও বৃহত্তর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের চেষ্টা করেছি। আমাদের এবারের ভাবনা ‘মা’। তবে পুজোর মধ্যেই আমাদের কাজ শেষ নয় ,সারাবছর সমাজের পাশে থেকে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকতে চাই।”

উদ্বোধনী সন্ধ্যায় আলো, সঙ্গীত, সংস্কৃতি ও ভক্তির মিলনে এক অপূর্ব পরিবেশ তৈরি হয় মির্জাপুরে। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা।

মির্জাপুর জগদ্ধাত্রী পূজো এখন আর কেবল একটি পাড়ার পুজো নয় , এটি হয়ে উঠছে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে একটাই বার্তা,
“মায়ের শক্তিতেই সমাজের উন্নয়ন।”


you can also read: ভারতের অন্নদাতা এমএসস্বামীনাথন

you can also read:প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন