কলকাতার রাস্তাঘাটের করুণ চিত্রে কড়া নজর হাইকোর্টের — রিপোর্ট তলব পাঁচ সপ্তাহে

  

জনস্বার্থ মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে— কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থার ওপর আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে KMC, HMC, PWD ও KMDA। নাগরিক সমাজ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের আশায় আছে।

কলকাতার রাস্তাঘাটের করুণ চিত্রে কড়া নজর হাইকোর্টের — রিপোর্ট তলব পাঁচ সপ্তাহে
“কলকাতার ব্যস্ত রাস্তা — বৃষ্টির পরে জল জমে রয়েছে, মাঝখানে বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা পিচ। সামনে ধীরে চলা গাড়ি ও মোটরবাইক, পেছনে ট্রাফিক সিগন্যাল ও বাসিন্দাদের উদ্বিগ্ন মুখ।”

Channel Eleven News Desk | কলকাতা, বৃহস্পতিবার:

শহরের রাস্তাঘাটে ভয়াবহ অব্যবস্থাপনা ও নাগরিক নিরাপত্তার সংকট নিয়ে এবার সরাসরি পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে,  Kolkata Municipal Corporation (KMC), Howrah Municipal Corporation (HMC), Public Works Department (PWD), Kolkata Metropolitan Development Authority (KMDA) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার অবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এই মামলায় জানানো হয়, শহরের একাধিক রাস্তায় গর্ত, খানাখন্দ, উঁচু-নিচু রাস্তা ও খোলা ম্যানহোলের কারণে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। আদালতের পর্যবেক্ষণ

“এটি আর শুধু নাগরিক অসুবিধার বিষয় নয়, এটি এখন জননিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দায়িত্বের প্রশ্ন।”

পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, নিয়মিত রাস্তা মেরামতির নামে চলছে লেপটেপ ও অস্থায়ী কাজ, যা বর্ষা নামলেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। বিশেষত দক্ষিণ কলকাতা, এক্সাইড মোড়, ইএম বাইপাস ও হাওড়া অঞ্চলে এমন অবস্থা ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে।

বিচারপতি বেঞ্চ জানিয়েছেন, এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ও পরিকল্পিত রোড রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

নাগরিক সমাজ ও রোড সেফটি অ্যাক্টিভিস্টরা আদালতের এই পদক্ষেপকে “অত্যন্ত সময়োপযোগী ও সাহসী উদ্যোগ” বলে বর্ণনা করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, “এই রাস্তায় প্রতিদিন হাঁটছি ভয় নিয়ে। এবার হয়তো বাস্তবিক পরিবর্তন দেখা যাবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন