আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI 171 বিধ্বস্ত। লন্ডনগামী ড্রিমলাইনার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় মেঘানি নগরে ভেঙে পড়ে। যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ২৪৪ জনের জীবন ঝুঁকিতে। চলছে উদ্ধার অভিযান।
Channel 11 News Desk | Pralay Chatterjee
আমদাবাদ | ১২ জুন ২০২৫ | দুপুর ১:৩৮ মিনিট
এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল গুজরাটের আমদাবাদ। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI 171, যেটি একটি Boeing 787‑8 ড্রিমলাইনার, আজ দুপুরে আকাশে ওড়ার মাত্র পাঁচ মিনিট পরই মেঘানি নগর আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। বিমানটির গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর।
কী ঘটেছিল?
ফ্লাইট ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উঠতে পেরেছিল, তারপরই গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই মেঘানি নগরের ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক অঞ্চলে বিকট শব্দে তা বিধ্বস্ত হয়।
কতজন ছিলেন বিমানে?
যাত্রী: ২৩২ জন
ক্রু: ১২ জন
মোট: ২৪৪ জন
তাদের সবার নিরাপত্তা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।
পরিস্থিতি
দুর্ঘটনাস্থলে ব্যাপক আগুন ও ঘন কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। চারদিকজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইঞ্জিন, অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল। স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজেদের উদ্যোগে উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন।
সরকার ও কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা একটি ইমার্জেন্সি সেন্টার চালু করেছে এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব রাম মোহন নাইডু কিঞ্জারাপু বলেন, "ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ চলছে। সমন্বিত উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।"
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল জানিয়েছেন, "ওয়ার ফিটনেসে কাজ চলছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।"
বিশেষ যাত্রী onboard?
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাক্তন গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ওই বিমানে ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও সরকারি কোনো বিবৃতি এখনো মেলেনি।
তদন্ত চলছে
হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়। DGCA (Directorate General of Civil Aviation) ও এয়ার ইন্ডিয়া যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ইঞ্জিন সংক্রান্ত ত্রুটি, ওভারলোড বা কন্ট্রোল সিগন্যাল ব্যর্থতা—সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষণ: কেন এত বড় দুর্ঘটনা?
ড্রিমলাইনার Boeing 787‑8 সাধারণত অত্যন্ত উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য পরিচিত। মাত্র ৫ মিনিটে সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হওয়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক।
মেঘানি নগর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
এই ঘটনার পর ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নীতির উপর আবার প্রশ্ন উঠছে।
